মিটিংয়ে আসেননি মুরগি ব্যবসায়ীরা, কী উপায় খুঁজছে এফবিসিসিআই


দৈনিক আলোড়ন
মিটিংয়ে আসেননি মুরগি ব্যবসায়ীরা, কী উপায় খুঁজছে এফবিসিসিআই

হঠাৎ কয়েক দিনে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগি ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। এখন মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির সুপারিশ করতে চায় এফবিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়সভার’ আয়োজন করা হয়।

সেখানে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে বেশ কিছু দিন হয়েছে। কয়েক দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমরা আজ এ নিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম, তারা আসেননি মিটিংয়ে। এর আগে দাম বাড়ল, তখন ধরপাকড় করা হলে দাম কমে আসে। এখন রমজানকে সামনে রেখে আবার মুরগির দাম বাড়ানো হলো কেন, প্রশ্ন রাখেন তিনি। এভাবে সমাধান আসবে না। আমরা সরকারের কাছে আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে বলব। আগামী দু-তিন মাস আমদানি করা হোক। এ ছাড়া আর আমরা কোনো পথ দেখছি না।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এবার সরকার বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে কঠোরভাবে। কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একই সঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক, কাউকে আটক করা হোক।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে। সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের সেলে জানান, আমরা কথা বলব। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে। আশা করব আপনারা কেউ বেশি মুনাফা করবেন না। বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আছে। পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামঅয়েল, সয়াবিনসহ অন্যান্য পণ্য।

সভায় সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের কাছে চিনি-ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে রোজায় কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।