কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ প্রতিবেশীর বাড়িতে দম্পতির আশ্রয়


দৈনিক আলোড়ন
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ প্রতিবেশীর বাড়িতে দম্পতির আশ্রয়

কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক অসহায় কৃষক পরিবারের ভিটেমাটি থেকে ঘর বাড়ি উচ্ছেদ করে নিয়ে যায় প্রভাবশালী একটি চক্র।

তাদের এ ধরণের কর্মকাণ্ডে ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল হারিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অসহায় এ পরিবারটি। এ ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী কৃষক খলিলুর রহমানের স্ত্রী সাদিয়া আফরিন আমেনা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. খলিলুর রহমান রাজামেহার ইউনিয়নের বড় সোনাকান্দা গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে। মামলার আসামীরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন, আবদুল মতিন, মো. সাদেক, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস, মো.অলিউল্লাহ, সাজেদা বেগম, বিল্লাল হোসেন, মো.মনিরুল ইসলাম, মো.খোরশেদ আলম এবং মো. পারভেজ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কৃষক খলিলুর রহমানের বসতভিটা থেকে ঘর বাড়ি উচ্ছেদ করে দখলে নেয় আসামীরা।

এসময় খলিল ও তাঁর স্ত্রী আমেনা বাঁধা দিতে এলে তাদের বেদম মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশের সাহায্য চান ভুক্তভোগী কৃষক খলিল ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশ আসার আগেই অভিযুক্তরা খলিলের ভিটেমাটি থেকে ঘরবাড়ি গুড়িয়ে পাশের একটি খালে ফেলে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, আসামীরা আমার পৈত্রিক ভিটেবাড়ি দখল করতে ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে আমার ভিটায় বাড়ি বানাতে ইট নিয়ে আসে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে। আমার স্ত্রীর হাত ভেঙে দেয়। আমরা যাতে এ ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে যাই একের পর এক হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমার পৈত্রিক ভিটেমাটি মাথাগুজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে দিশেহারা অবস্থায় ঘুরছি।
মামলার বাদী সাদিয়া আফরিন আমেনা বলেন, তাঁরা প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার স্বামীকে পিটিয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

আমরা আতঙ্কে আছি। তাঁরা আমার স্বামীর বাড়ি দখল করে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কোন বিচার পাচ্ছি না। আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলা হলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাঁরা প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করছে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগে খলিলুর রহমানের স্ত্রী সাদিয়া আফরিন আমেনা ১০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।