ফেনীর দাগনভূঞায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, আসামিকে মঙ্গলবার ফেনীর আদালতে পাঠিয়ে তার রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
দেলোয়ার হোসেন উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুরের ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বছর চারেক আগে দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি কৌশলে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া ও দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন দেলোয়ার। দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে ওই গৃহবধূ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। নানা অজুহাতে বেশ কয়েকবার ওই যুবলীগ নেতা গৃহবধূকে মারধরও করেন।
দুই মাস আগে গৃহবধূর স্বামী দেশে ফিরে আসেন। স্বামীর কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। কিন্তু স্বামী দেশে আসার পরও যুবলীগ নেতার উৎপাত কমেনি।
পরে বাধ্য হয়ে স্বামীর কাছে বিষয়টি জানান। স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি স্থানীয় মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকেও অবহিত করেন।
গৃহবধূর স্বামী যুবলীগ নেতা দেলোয়ারকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে দেলোয়ার আরও ক্ষিপ্ত হন।