ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রায় ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার মানবিক চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার জেনেভায় ডব্লিউএইচওর বোর্ড সভায় সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার অ্যাডেলহেইড মার্শাং এসব কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।
অ্যাডেলহেইড মার্শাং বলেন, সংকট উত্তরণে তুরস্কের শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে। তবে গৃহযুদ্ধ এবং কলেরার প্রাদুর্ভাবের পর সিরিয়ার বছরব্যাপী এ মানবিক সংকট মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
এটি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে একাধিক শীর্ষ সমস্যার মধ্যে একটি বড় সংকট বলে মনে করেন তিনি।
অ্যাডেলহেইড মার্শাং বলেন, সিরিয়ায় যখন মানবিক তহবিল ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে তখন বছরজুড়ে চাহিদা আরও জটিল সংকট সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রায় ২৩ মিলিয়ন লোক এবং ১.৪ মিলিয়ন শিশু গৃহহীন হয়ে যাবে।
জরুরি অস্ত্রোপচারের কিট এবং মেডিকেল টিম পাচ্ছে ডব্লিউএইচও। ‘এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা’ উল্লেখ করে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, ‘প্রতি মিনিট ও ঘণ্টা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।’ তিনি বলেন, সোমবারের ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়ার সেসব এলাকার কোনো তথ্য আসেনি ওই সব অঞ্চল নিয়ে উদ্বিগ্ন ডব্লিউএইচও।
‘ক্ষয়-ক্ষতি মানচিত্র’ বুঝার জন্য একটি রাস্তা; যেখানে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প এবং তার আফটার শকগুলোতে (পরাঘাত) ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপ যেন দ্রুত কমানো যায়।