আজ শনিবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে আইন মন্ত্রণালয় সেমিনারের আয়োজন করে। সে সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আজ শনিবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে আইন মন্ত্রণালয় সেমিনারের আয়োজন করে। সে সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই দেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবসময় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন।
স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠেনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বর্ণনা করতে গিয়ে স্পিকার বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পর দিনই তিনি সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছিলেন। সব কাজের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নকেই তিনি সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়েছেন। তাই জনগণের কল্যাণে এই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন আইন কমিশনের সদস্য, সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম মাসুম বিল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। গত বছর সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। সংবিধান দিবস উপলক্ষে প্রথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি উদযাপনে শনিবার বিকেলে আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।