ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করলে পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের ঘাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামের পাষণ্ড স্বামী আরিফের বাড়িতে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে সোনিয়াকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে স্বামী পালিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
স্বামী আরিফ চুমুরদি গ্রামের আবিল শেখের ছেলে ও স্ত্রী সোনিয়া পার্শ্ববর্তী ঘারুয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের মেয়ে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬-৭ বছর আগে সোনিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে আরিফের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আরিফ শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালদ্বীপে যায়। দীর্ঘ ৪ বছর মালদ্বীপ অবস্থান করলেও শ্বশুরের টাকা আরিফ পরিশোধ করেন নাই।
দেশে আশার পর আরিফ এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতো এবং স্থানীয়ভাবে ও থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। গত ১৫ দিন আগে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে যায় আরিফ। ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই পরকীয়ার জের ধরে সোনিয়াকে বেদম প্রহার করে ঘাড় ও হাত ভেঙে দেয়।
তবে অভিযুক্ত স্বামী আরিফের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুয়েল বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে গত ১৫ দিন আগে একবার সালিশ করেছি। এলাকার লোকজন ও আরিফ মুচলেকা দিয়েছিলেন। যদি আবারো মারধর করে থাকে তাহলে থানায় অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেব।