বগুড়ার শেরপুরে জামাইয়ের লাঠির আঘাতে শ্বশুর আব্দুস সাত্তারের (৮৫) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুস সাত্তার উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামাই সোলেমান আলীকে (৬০) গ্রেফতার করেছে। তিনি একই গ্রামের মৃত হোসেন প্রামাণিকের ছেলে।
থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে জোহর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফিরে বাড়ির গেটে সামনে আসে। এ সময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন জামাই সোলেমান পেছন থেকে লাঠি দিয়ে শ্বশুর সাত্তারের মাথায় আঘাত করে।
এ সময় বৃদ্ধের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়ে আয়শা বেগম জানান, এর আগেও আমার মাকে মাথায় আঘাত করায় দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে ছিলেন। গত দুই মাস পূর্বে মা মারা যান। একইভাবে আমার বাবার মাথায় লাঠির আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। জামাই সোলেমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত সোলেমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করলেও এর কারণ জানায়নি। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
