খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিভক্ত মত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ব্যাপারটা একেবারেই বিএনপির বিষয়। কিন্তু আমরা তো আন্দোলন করছি। সেই হিসেবে আন্দোলনের ফসলের উঠতি-পড়তি, সুখ-দুঃখে আমরা শেয়ার করতে পারি- এই বিবেচনা থেকে কথাটা আমি বলছি। আওয়ামী লীগ তো গত ১৪/১৫ বছর ধরে একটা জবরদখলকারী, মতলববাজ, মিথ্যুক দল হয়ে গেছে- তাদের নেত্রীসহ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বক্তব্যকে সমর্থন করে মান্না বলেন, এই যে, একটু আগে টুকু (ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু) বললেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) বললেন যে, তাকে (তারেক রহমান) ঠিক হতে বলো, তা নাহলে তার মাকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব’। যেহেতু এটা কোনো আইনি পদক্ষেপ নয়, এটা একটা এক্সকিউটিভ অর্ডার ছিল- উনাকে (খালেদা জিয়া) রিলিজ করার। তার মানে তার হাতে সেটা আছে। খেয়াল করবেন, আবার জেলে পাঠিয়ে দেবার এখতিয়ার তার আছে এখন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন টুকু।
এর আগে টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবার বললেন যে, খালেদা জিয়া রাজনীতি করলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেবেন। আবার এখন তারই আইনমন্ত্রী বলছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে মানা নেই। আমি কোনটাকে ধরব, আপনারাই (সাংবাদিক) বলেন।
একই প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি একটা গল্প বলতে পারি এই গল্প থেকে, সাংবাদিকরা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘এক লোকের একটা গরু হারিয়েছে। বাড়িতে এসে বউরে বলতেছে, মারে এক গ্লাস পানি দে। বউ বলতেছে যে, তোমার মাথা খারাপ হইছে। তুমি বউরে মা ডাকতেছ। কয়- রইদ মাইখা চৈত্রে গরু হারাইলে এই রকম হয়। আপনারা যা বোঝার বুঝে নিয়েন। ‘
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আসলে উনারা (সরকার) যেটা বলতেছে যে, নির্বাহী যে আদেশ করেছিলেন, সেই আদেশে বলা আছে যে, এই এই শর্ত ছিলো, এই এই শর্ত ছিল না। আজকে এসে বলছেন আরেক কথা। ওই এক্সিকিউটিভ অথরিটি তো উনাদের আছে। উনাকে মামলা থেকে রিলিজ করতে পারেন। হোয়াই নট? উনারা যদি বোঝেন যে, উনার রাজনীতি করার অধিকার আছে, সেই অধিকার তো জেলে থাকলেও থাকে। মানুষ জেলে থেকে নির্বাচন করতে পারে।