অপূর্ব আহমেদ জুয়েল: বর্তমান বিশ্বের খল-নেতাদের লিষ্টে আমি মোদীর নাম রাখি সব সময় ( পুটিন, শি জিনপিং, ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, আয়াতোল্লাহ, কিম, এরদেগান ); শেখ হাসিনার বেলায়, ২০১৮ সালের আগ অবধি, উনাকে আমার কাছে কিছুটা হাসিখুশী মানুষ বলে মনে হতো। এবারের নির্বাচন নিয়ে উনি কথা বলতে গিয়ে উনি যখন বললেন, এই নির্বাচন ইতিহাসে “স্বর্ণাক্ষরে” লেখা থাকবে, তখন মনটা খুব খরাপ হয়েছে; আগামী ৫ বছর উনি কি করবেন দেশটাকে?
উনি নির্বাচনী ইশতিহারে কি লিখেছেন, সেটা আমি পড়ে দেখিনি, উহার শিরোনামে “স্মার্ট বাংলাদেশ” শব্দটা ব্যবহার করাতে উনাকে আমার মনে হয়েছে, একজন ঠগি মহিলা।
উনি ও মোদী একই সময়ে, পাশাপাশি ২টি দেশ চালাচ্ছেন ১০ বছর; উনি উনার কেবিনেটে অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, ইমপ্লিমেন্টেশান মিনিষ্টার ( বাংলাটা মনে পড়ছে না ) নিয়োগ দিয়েছেন এমন লোকদের, যাদেরকে বিশ্বব্যাংক বিশ্বাস করে না:
আমাদের সরকারের লোকেরা দেশের প্রবৃদ্ধির হার দেখায়েছে শতকরা ১০ ভাগ, ৭ ভাগ, ইত্যাদি; কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক আমাদের সরকারের ডাটাকে E গ্রেইড দিয়েছে; E গ্রেইড মানে সঠিক বা বিশ্বাসযোগ্য নয়:
এবার দেখেন ভারতীয়দের প্রবৃদ্ধির হারের ডাটা:
ডা টানুসারে, ভারতীয়দের প্রবৃদ্ধি আমাদের চেয়ে কম। কিন্তু তাদের ডা টা অধিক গ্রহনযোগ্য; নীচে তাদের ডা টার গ্রেইড:
ভারতীয়দের ডাটার গ্রেইড হচ্ছে, C
আগামী ৫ বছর দেশের জন্য উনি ও উনার কেবিনেট কি করবে, বলা মুশকিল; দেশের আয় কম ও ডলারের দাম বেশী। বিশ্বব্যাপী খারাপ সময় যাচ্ছে। ইসরায়েল আমেরিকা ও বৃটেনকে যুদ্ধে টেনে এনেছে; আমেরিকা হুতিদের দোষ দিয়ে ইয়েমেনের ভেতরে বিমান আক্রমণ করেছে; এর আগে নিজের পক্ষে কোয়ালিশন গঠন করেছে, মোদী উহাতে আছে।