সরকারের পতনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের


দৈনিক আলোড়ন
সরকারের পতনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের

২০১৪ ও ২০১৮ সালে জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের অধীনে এই দেশে আর কোনো জালিয়াতির নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’

আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে পদযাত্রা শুরুর আগে তারা এই মন্তব্য করেন।

সমাবেশে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার তিনি বলেন, ‘প্রশাসন দেশের উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের পতনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’।

পরে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আজাদ প্রোডাক্টসের গলি দিয়ে কালভার্ট রোড হয়ে আবার বিজয়নগর এসে শেষ হয়। সরকারের দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

পদযাত্রায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেশের সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। সরকার বিদেশি ঋণের টাকায় মেগা-প্রজেক্ট বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্ষুধার্ত জনগণকে উন্নয়নের নামে উপহাস করছে। ঋণের টাকায় অবৈধ সরকারের সঙ্গে থাকা লুটেরা সহযোগীরা ঘি খাচ্ছেন ও বিদেশে টাকা পাচার করছেন।

সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা জেল, জুলুম, গুম-খুনের শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, এনডিপির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবীর পিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।