স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন, কাঁদছে কন্যা


দৈনিক আলোড়ন
স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন, কাঁদছে কন্যা

ভালোবেসে আলিয়া সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এ দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। পুত্রসন্তানের স্বীকৃতি না দেওয়া, স্ত্রীকে খাবার না দেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে এই তারকা অভিনেতার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছেছে; যা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

এরই মাঝে স্ত্রী আলিয়া ও দুই সন্তানকে আন্ধেরির বাড়ি থেকে বের করে দিলেন নওয়াজউদ্দিন। শুক্রবার (৩ মার্চ) আলিয়া তার ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে এই অভিযোগ করেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নওয়াজউদ্দিনের বাড়ির গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন আলিয়া। আর কন্যা বাড়িটির দিকে তাকিয়ে কাঁদছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে আলিয়া সিদ্দিকী লিখেছেন— ‘এটাই সত্যি যে, নওয়াজউদ্দিন তার নিষ্পাপ বাচ্চাদেরও রেহায় দেয়নি। আমি টানা ৪০ দিন এ বাড়িতে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ জরুরি ভিত্তিতে আমাকে থানায় ডেকে পাঠায়। এজন্য ভারসোভা থানায় গিয়েছিলাম। ফিরে আসার পর আমাকে ও বাচ্চাদের আর বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। আমরা যাতে ঢুকতে না পারি, এজন্য কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী রেখেছে। রাতের বেলায় আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে। ও বিশ্বাস করতে পারছে না যে, নওয়াজউদ্দিন ওর বাবা।’

মুম্বাইয়ে আলিয়ার আর কোনো বাড়ি নেই। বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবে তাও বুঝতে পারছিলেন না। তা জানিয়ে আলিয়া বলেন, ‘এ ঘটনা শুনে আমার এক আত্মীয় আমাদের নিয়ে যায়। তারা এক রুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। সেখানে আমরা আছি।’ আলিয়ার পোস্ট করা দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, একটি রুমে বেশ কয়েকজন শোয়ে আছেন। তার মধ্যে ফ্লোরে বিছানা পেতে শুয়ে আছে নওয়াজউদ্দিনের ছেলে-মেয়েরাও।

গতকাল একটি ভিডিও পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন আলিয়া। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘আমি একজন নারী। আমি নিষ্পাপ দুটি শিশুর মা। এই ভিডিওর মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজির কাছে ন্যায়বিচারের প্রার্থনা করছি। আমাকে সাহায্য করুন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে মুম্বাইয়ের ভারসোভার বাংলোতে অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। কিন্তু তার ভাই ফয়জুদ্দিন তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এমনকী মায়ের তত্ত্বাবধায়ক নওয়াজউদ্দিনকে ঢুকতে বাধা দেয়। নওয়াজউদ্দিনের মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তিনি কারো সঙ্গে দেখাও করতে চান না। পরে ফিরে যান এই অভিনেতা।