আগামী এক মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা জটিলতার সমাধান করার আলটিমেটাম দিয়েছেন ইতালির ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এসে এই ঘোষণা দেন তাঁরা। এই সময়ের মধ্যে ভিসা জটিলতার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠক শেষ করেন ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা।
পরে তাঁদের প্রতিনিধি মো. লোটাস পারভেজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা সব কিছু জানেন। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এ বিষয়ে কাজ করছেন।
গত মাসে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয় সমাধানের জন্য ঢাকায় প্রতিনিধি এসেছিলেন। এমনকি আগামী মাসেও প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে প্রতিনিধি আসার কথা রয়েছে। ইতালি থেকে প্রতিনিধি এলে খুব দ্রুত এ বিষয়টির সমাধান হবে। এগুলো বলে আমাদের তিনি আশ্বস্ত করেন।
লোটাস পারভেজ আরো বলেন, ‘আমরা তাঁকে বলেছি যে গত দেড় থেকে দুই বছর প্রত্যেকেই আমাদের এগুলো বলে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু এই কাজের কোনো প্রতিফলন হয়নি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েছিলাম। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি আমাদের জানান। আমরা পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা যেহেতু সাক্ষাৎ করতে পারছি না, তাই আমরা এক মাস দেখব যে কাজের কোনো অগ্রগতি হয় কি না।
যদি না হয় তবে আমরা আগামী মাসে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করব।’
এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কিছুটা দূরত্বে কাকরাইল মসজিদসংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন শুরু করেন ইতালির ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা। এ সময় ইতালির ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমরা ইতালি দূতাবাসে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ক পারমিট জমা করেও আজ-অবদি প্রায় দুই বছর শেষ হওয়ার পথে কোনো সমাধান পাচ্ছি না। ভিএফএস গ্লোবাল আমাদের জমা করা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন ৯০ কর্মদিবসে নিষ্পত্তি করার কথা বলা থাকলেও আজ পর্যন্ত আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা আরো বলেন, ‘ভিএফএস গ্লোবাল আগের ভিসার সমস্যার সমাধান না করেই প্রতিদিন জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নিয়ে নতুন ভিসার আবেদন জমা নিচ্ছে। আমরা চাই, কবে নাগাদ দূতাবাস জমা করা ওয়ার্ক পারমিটের কার্যক্রম সমাধান করবে, তার একটি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করুক।’
দাবি তুলে ধরে ইতালির ভিসাপ্রত্যাশীদের প্রতিনিধি রিয়াদ হাসান বলেন, ‘ভিসা আবেদনের পর আবেদন নিষ্পত্তিতে এত দীর্ঘ সময় লাগা একটি নজিরবিহীন ঘটিনা। যে কারণে আমরা বর্তমানে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছি।*