অপূর্ব আহমেদ জুয়েল: ৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করা নতুন সরকার কে বিপদে ফেলতে একের পর এক রেকর্ড ফোন কল ফাঁস করতে থাকেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন রকম ভুয়া কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে নির্দেশ দেন। ইউনূস সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন। কিন্তু এইবার প্রথম শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে ভারচুয়ালি নেতাকর্মীদের সামনে ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণে তিনি দাবী করেন উনার বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার সকল অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত! সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাবী করেন, ড. ইউনূস গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড। ড্. ইউনূস কে সহযোগিতা করেছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও ছাত্র সমন্বয়করা। শেখ হাসিনা ভাষণে বলেন, , ‘আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মুহাম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরাই মাস্টারমাইন্ড। এমনকি তারেক রহমান (বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র) লন্ডন থেকে জানিয়েছেন এভাবে যদি মৃত্যু চলতেই থাকে, তাহলে এই সরকার বেশিদিন টিকবে না।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘আজ শিক্ষক, পুলিশ সবার উপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং হত্যা করা হচ্ছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের টার্গেট করা হচ্ছে। গির্জা ও বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছে। কেন বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে? ’আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা আমেরিকা উনাকে সরিয়ে দিতে চায় অভিযোগ করলেও ভার্চুয়াল ভাষণে আমেরিকার বিরুদ্ধে টু শব্দ করেননি!
সমস্যা হইলো ড. ইউনূস বাংলাদেশের এই জঘন্য রাজনীতিতে নিজ আগ্রহে আসার সম্ভাবনা জিরো পারসেন্ট । জুলাই আন্দোলনের পিছনে আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। ভবিষ্যতে কি তবে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে ড. ইউনূসের বিচার করবে আওয়ামী লীগ?
জুলাই অভ্যুত্থানে মার্কিন কানেকশন পাওয়া গেলে আমেরিকার বিরুদ্ধে আইসিসিতে গণহত্যার বিচার চাইবে শেখ হাসিনার দল?