কুমিল্লায় পিস্তল প্রদর্শন করে ভাইরাল খলিলুর রহমান নামের এক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় কোমরে পিস্তল নিয়ে এলাকায় ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন চেয়ারম্যান। আকাশী রংয়ের শার্ট আর বাদামী রংয়ের প্যান্টের ফরমাল পোশাকের কোমর বন্ধনীতে রাখা একটি পিস্তল। অপরিচিতদের বুঝার কোনো উপায় নেই তিনি কি ইউপি চেয়ারম্যান না কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ।
শনিবার সন্ধ্যায় এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
ভাইরাল ওই ছবিতে দুজন ব্যক্তির হাত থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে দেখা গেছে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানকে। এসময় প্রকাশ্যে কোমরের ডানপাশে প্রদর্শন করে রাখা হয়েছে পিস্তল। যদিও ওই ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি পিস্তলটি লাইসেন্স করা। তবুও লাইসেন্স করা হলেও এভাবে প্রদর্শন করা নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এর ২৫ নম্বরের ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি স্বীয় লাইসেন্স এন্ট্রিকৃত অস্ত্র আত্মরক্ষার নিজে বহন/ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্যের ভীতি/ বিরক্তি উদ্রেক করতে পারে এরূপভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন না।
আইনানুযায়ী তিনি তার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখতে পারলেও অন্যের ভীতি/ বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে এরূপভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন না। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান যেভাবে তার অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন তাতে জনমনে আতংক সৃষ্টি হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক। সাধারণ জনগণের মনে যা ভীতির সঞ্চার করবে সন্দেহাতীত।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, আমার এ অস্ত্রের লাইসেন্স আছে। জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স পাওয়া অস্ত্র আমার সাথে রাখতে পারব, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর কুমিল্লার সাবেক সভাপতি আলমগীর খান বলেন, ছবিটি আমি দেখেছি। এভাবে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন মোটেও ঠিক নয়। তিনি যেভাবে কোমরে পিস্তলটি রেখেছেন যেকোনো মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি হবে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, ওই চেয়ারম্যানের লাইসেন্স যদি থেকেই থাকে তবে সেই লাইসেন্স বাতিল করে যত দ্রুত সম্ভব তার কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হোক। ছ
বিটা দেখে বুঝাই যাচ্ছে তিনি নিজেকে জাহের করার উদ্দেশ্যে এভাবে পিস্তলটি প্রদর্শন করতে কোমরে রেখেছেন।কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, তিনি কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। তাছাড়া একজন বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারী জনসম্মুখে এভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে