সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম। ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. আশফাক নবী কনকের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, ড্যাবের সহসভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদুর রহমান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা, এ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার, ডা. এম এ কামাল, ডা. জাহানারা লাইজু প্রমুখ।
এ ছাড়াও ড্যাব নেতা ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. রুস্তম আলী মধু, ডা. এনামুল হক এনাম, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু, ডা. এম শাহিন, ডা. হুমায়ুন কবির প্রিন্স, ডা. নাভিদ মোস্তাক, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিকসহ শতাধিক চিকিৎসক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের শুরু জিয়ার হাত ধরে : নজরুল ইসলাম খান
ঐক্য-ন্যায়ের কাছে বন্দুকের শক্তি টিকতে পারে না : মঈন খান
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেছিলেন। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ এই দেশে একসময় মানুষ ডাস্টবিনে পশুর সঙ্গে খাবার খেত। কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু এক শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তিনি সকল কলকারখানা পর্যায়ক্রমে চালুর মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাকে দেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে এখনও হচ্ছে। এসময় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজ করার ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি আরও বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের উচিত জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা। কিন্তু তারা নির্লজ্জের মতো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছে। ঋণ দিয়ে তিনি গার্মেন্টস শিল্প চালু করেছিলেন। বেকারত্ব দূর করতে নানা কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার কর্মী পাঠিয়ে তিনি প্রথম প্রবাসী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি এখনও মর্যাদা ও শক্তিমত্তার সঙ্গে টিকে আছে। ক্রমান্বয়ে এর কলেবর বাড়ছে। এটাই শহীদ জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম বলেছিলেন- ‘উই রিভোল্ট’। তার ঘোষণায় দেশের মানুষ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। মেজর জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ গড়ে ওঠেছিল সেটি স্ট্যালিন গ্রাডের প্রতিরোধের মতো।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ জিয়াউর রহমান সেখানে সফল। আজকে মানুষের স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষ স্বাধীনতার পর মনে করেছিল একটি জাতীয় সরকার হবে। কিন্তু মরহুম শেখ মজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেন। তবুও নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আওয়ামী লীগ সরকার জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও চক্রান্ত করছে। তবে ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের জনগণের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়া যাবে না।
ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে যাকে পেয়েছি আমরা তিনি হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যেদিন এ দেশের মানুষকে নির্বিকারে হত্যা করে যাচ্ছিল পাকিস্তানের বর্বর বাহিনী সেদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর জিয়াউর রহমানই প্রতিরোধ গড়ে তুলে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান বলেন, এ সরকার বিএনপিকে ভাঙতে নানা প্রচেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের দলের নেতাদের সুদক্ষ পরিচালনায় তা কিছুই করতে পারেনি তারা। আমাদের দেশ ও জনতার অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই চলছে, তা ফিরিয়ে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।