অপুর্ব আহমেদ জুয়েল:- ২০২৫ সালে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক রীতিনীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ উঠে এসেছে। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি, দলীয় অনিয়ম এবং শক্তি প্রদর্শনের মনোভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বিএনপি নির্বাচনী সময় কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সময় প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। দলের পক্ষ থেকে অশান্তি সৃষ্টি, হুমকি-ধমকি, গঠনমূলক রাজনৈতিক আলোচনার পরিবর্তে জবরদস্তি ও চাদাবাজির ঘটনায় এসব পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এর ফলে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দলটির প্রতি আস্থা কমে আসছে।
২০২৫ সালে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য দরকার সক্রিয়, দৃষ্টিভঙ্গিমূলক ও সংলাপভিত্তিক রাজনীতি। কিন্তু বিএনপির কিছু কার্যকলাপ থেকে বোঝা যায়, তারা এখনও পুরনো কায়দায় — অর্থাৎ শক্তি প্রদর্শন ও চাদাবাজির মাধ্যমে রাজনীতিকে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমন মনোভাব দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ করছে।
জনমনে এখন প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি কতটা এই ধরনের নেতিবাচক ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে? এবং তারা কি সত্যিই পরিবর্তিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত? কারণ দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার সুশাসন ও স্বচ্ছ রাজনীতি, যা হবে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পথের মাধ্যমে।
দেশের মানুষ আশা করে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতামত প্রকাশ করবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে, যাতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির উচিত তাদের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি ও নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা, দুর্নীতি ও চাদাবাজির মতো নেতিবাচক প্রবণতাকে দূর করে সৎ ও দায়িত্বশীল রাজনীতি চালানো।
বাংলাদেশের জনগণের ভবিষ্যৎ সুস্থ ও সমৃদ্ধ করতে হলে রাজনীতিতে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা দেশের উন্নয়ন ও শান্তির স্বার্থে কাজ করবে। তাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে সময় এসেছে নিজেদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখতে।