টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতেই ঝড় তোলে টাইগার ওপেনাররা। রনি-লিটনের ঝড়ো শুরুর ওপর ভর করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রানের পাহাড়ও গড়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি বাধায় ২০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ডিএলএস মেথডে ঠিক করা হবে আয়ারল্যান্ডের টার্গেট। এই নিয়ে চতুর্থবারের মত টি-টোয়েন্টিতে ২০০ পেরোল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সর্বোচ্চ ২১৫।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গের জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন লিটন-রনি। শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে দুই টাইগার ওপেনার। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৮১ রান, যা টি২০তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪ উইকেটে ৭৬ তুলেছিল বাংলাদেশ।
দলীয় ৯১ রানে লিটনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৩ বলে ৪৭ রান করে থামেন তিনি। লিটনের বিদায়ের পরপরই অর্ধশতক হাঁকান দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। ৪ চার ও দুই ছক্কায় মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন রনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম। লিটনের পর রনিকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি শান্ত। ১৩ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন। দলীয় ১৫৪ রানে গ্রাহাম হিউমে বোল্ড হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা রনি। ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসের শেষ এখানেই। তার বিদায়ে ভাঙল শামীমের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি।
শামীমও আজ ঝড় চালিয়ে গেছেন। ফেরার আগে ২০ বলে ৩০ করে ফিরে যান তিনি। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গী করে বাংলাদেশের পুঁজি দুইশত পার করেন সাকিব আল হাসান। আর এরপরে বৃষ্টি এসে হানা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: মার্ক এডেয়ার, রস এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট ও ক্রেইগ ইয়াং।