বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙার পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে, কাতারে রূপকথার গল্প লেখার পর এই প্রথম মরক্কানদের পায়ে দেখা যাবে ফুটবল। ঘরের মাঠে তারা ব্রাজিলকে আতিথ্য দেবে।
প্রীতি ম্যাচ হলেও জেতার জন্য মুখিয়ে মরক্কো। টাঙ্গিয়েরের ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে হবে দুই দেশের এই ম্যাচ। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।
একঝাঁক নতুন তারকা নিয়ে প্রীতি ম্যাচের জন্য দল সাজিয়েছেন ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ কোচ র্যামন মেনেজেস। তবে, বিশ্বকাপে খেলা দলটির প্রায় অর্ধেক ফুটবলারকে বাদ দেওয়ায় তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
মরক্কোর বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোকে। এর আগে ব্রাজিলের নিয়মিত অধিনায়ক ডি সিলভা চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে যান। গত মাসে গোড়ালির চোটে পড়া চেলসির এই ডিফেন্ডারকে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ফলে বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ ও অধিনায়কের অধীনে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নামছে সেলেসাওরা।
মাঠে নামার আগে ব্রাজিলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মরক্কোর কোচ রেগরাগুই”ব্রাজিলের বিপক্ষে আমাদের পরিচয় পাল্টাব না। এমন কিছু করবো না যেটা আমরা না, কিন্তু আমরা আরও বেশি ঝুঁকি নেব যেটা বিশ্বকাপে নেইনি। বিশ্বকাপে যে কোনও ভুলের মাশুল দিতে হতো। শনিবার আমাদের প্রীতি ম্যাচ এবং সম্ভবত আমরা অনেক বেশি সাহসিকতা নিয়ে খেলব এবং চেষ্টা করব ভিন্ন কিছু করার, যেটা আমরা বিশ্বকাপ ম্যাচে করতে পারিনি।
এ নিয়ে তৃতীয়বার ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় মরক্কো। আগের দু’দেখায় প্রতিবারই সেলেসাওদের কাছে হেরেছে এটলাস লায়ন্সরা। ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ব্রাজিলের জয় ২-০ গোলে। পরের দেখা ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে যাতে ব্রাজিলের জয় ৩-০ গোলে। ব্রাজিল বনাম মরক্কোর ম্যাচকে ঘিরে বর্তমানে ফুটবল প্রেমিদের মনে উত্তেজনা তুঙ্গে।
এই ম্যাচে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে দেশের সমর্থকদের পাশে চেয়েছেন মরক্কো কোচ। ৬৫ হাজার দর্শকের স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। তাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় দল আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে বিশ্বাস মরক্কো কোচের।