বিশেষ প্রতিবেদন (অপূর্ব আহমেদ জুয়েল): অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে যাবার আগে কি পার্টি মার্টি করে গেছেন নাকি? ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার নেই, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে! আমদানী-করা কোন প্রোডাক্ট কেনা-মুল্য থেকে কম দামে বিক্রয় হয়েছে? টাকা গেলো কোথায়? ডলার না’থাকলেও ৩০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ টাকা তো সরকারের কাছে থাকার কথা; নতুন মন্ত্রী কি পেলেন, কি না’পেলেন উহা নিয়ে কিছু বললেন না;ফলে, উনার সময়ের আয় উন্নতি মাপার কোন পথ থাকছে না।
ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপে বসবাসকারী বাংগালীরা দেশে সম্পত্তি বিক্রয় করে টাকা কোন পথে দেশ থেকে নিচ্ছে? শেখ হাসিনার বয়স হয়েছে, আধুনিক বিশ্ব কিভাবে চলছে, উহা বুঝার মতো ব্যাকগ্রাউন্ড উনার নেই; যেসব লোকজনকে কেবিনেটে এনেছেন, এরা কেহ রাজনীতিতে সুনাম নিয়ে, সৎভাবে জয়ী হয়ে আসেনি, সবাই শেখ হাসিনার “কৌশলের” প্রোডাক্ট, সবাই ব্যবসায়ী; এদের বেশীভাগই নিজ এলাকায় জনপ্রিয় মানুষ নন। এরা এলাকায় গেলে কোন মানুষের সাথে এদের মেলামেশা নেই, এরা নিজেদের ক্যাডার ফ্যাডারদের নিয়ে চলে।
শিক্ষাকে কবর দিয়ে গেছেন দীপুমনি, অর্থনীতিকে রুগ্ন করে দিয়ে গেছে ক্রিকেট কামাল সাহেব; এর বাহিরে, বিশ্বের অর্থনীতি ভয়ানক অবস্হায়। এই ভয়ানক অবস্হায়, শেখ হাসিনা ও ব্যুরোক্রেটরা দেশকে নিয়ে গেছে চীন-রাশিয়া-ভারতের বলয়ে। ভারত আমাদের ভালো চাহে না; আমাদের এই নির্বাচনে ভারত সবার আগে স্বীকৃতি দিয়ে অভিন্দন জানায়েছে; কিন্তু মোদী তার দেশে কি এই ধরণের নির্বাচন করেছে? ভারত নিশ্চয় বিএনপি-জামাতকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় চাহে না , বাংলাদেশের বড় অংশও ওদের চাহে না ; কিন্তু বিজেপি’র কোন নেতাকে বিজেপি প্রার্থীর সাথে ভোটে প্রতিযোগীতা করতে দেবে? যদি না’দেয়, অভিনন্দন পত্রে তো বলতে পারতো, “বাংলাদেশে আরো গ্রহনযোগ্য ভোট করার দরকার যখানে প্রতিটি নাগরিক যেন ভোট দিতে পারে”।
চীন সেই দেশে ব্যবসা করে, সেই দেশের সরকারী কর্মচারী ও ব্যুরোক্রেটরা চোরে পরিণত হবেই হবে। চীন সোস্যালিজম থেকে বের হওয়ার সময়, ব্যবসার সুযোগ ও ক্যাপিটেলের মালিক হয়েছে শুধু মাত্র দলের ডাকাতেরা। সেইসব ডাকাত, দেশের হয়ে বিদেশে ব্যবসা করছে; এরা ব্যবসার নামে ৩য় বিশ্বের সরকারগুলোকে নিজ দেশে সরকারী তহবিল ডাকাতীতে সাহায্য করছে। রাশিয়ার কি অবস্হা সবাই জানে! খুঁজে দেখলে বাংগালীও যোদ্ধাও পাওয়া যেতে পারে; ঢাকায় নুর আলীর অফিসে খোঁজ নিলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে।
নওফেল গত ৫ বছর শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলো; প্রাইমারী স্কুলে বাচ্চা কমছে, সবার ড্রইংরুমে মাদ্রাসা খুলছে, তিনি উহা দেখেছেন? ঢাকায় বিদেশী গ্রেজুয়েটরা চাকুরী করে ডলার নিয়ে গেছে, উনার চোখে পড়েনি? এগুলোর কোন সমাধান উনার মাথায় আসেনি? উনার বাবা মাফিয়া ছিলো, ডাকাতির টাকায় নওফেলকে বিদেশে পড়ায়েছিলো! এসব লোকজন হচ্ছেন উনার কেবিনেটের মনি মাণিক্য; এদের নিয়ে সামনে যাওয়া সম্ভব হবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: অপূর্ব আহমেদ জুয়েল (দৈনিক আলোড়ন)