মো: গোলাম সারওয়ার, কুমিল্লা উত্তর (জেলা প্রতিনিধি)।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫২তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষ।
শনিবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মুরাদনগর কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর, নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পীযুষ চন্দ্র দাষ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, উপজেলা আ’লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, উপজেলার সকল কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল ৮টায় মুরাদনগর ডিআর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের মঞ্চে উপজেলা শিল্পকলার আয়োজনে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় মুরাদনগর থানা পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, অভিবাদন গ্রহন, শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানা প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, সমাজসেবা কর্মকর্তা বরুণ দে, মুরাদনগর থানার (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর, বাঙ্গরা বাজার থানার (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের সদস্য মনিরুল আলম দিপু, মমতাজ বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন (ভিপি), শুকলাল দেবনাথ, গোলাম কিবরিয়া খোকন, কামাল উদ্দিন খন্দকার, ইউপি সচিব চন্দন কুমার সাহা, জাকির হোসেন, মোজাম্মেল হক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সূফি আহাম্মদসহ সকল কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শণ শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
এছাড়াও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। খেলাধূলা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।