নারী ফুটবল বন্ধ: অগ্রগতির পথে অন্তরায়


Apurbo Ahmed Jewel
নারী ফুটবল বন্ধ: অগ্রগতির পথে অন্তরায়

কানিজ ফাতেমা (বনি):নারী ফুটবল বন্ধ করে দেওয়া শুধু খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মবিশ্বাস ও শারীরিক সুস্থতার বিরুদ্ধে একটি বড় বাধা। খেলাধুলা একজন নারীকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে এবং তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। অথচ মৌলবাদীদের চাপে এই খেলা বন্ধ হলে নারীরা তাদের প্রতিভা ও স্বপ্ন হারাবে, যা সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও গভীর করবে। যেখানে পুরুষরা অনায়াসে খেলাধুলা করতে পারে, সেখানে নারীদের জন্য এটি নিষিদ্ধ হলে তা স্পষ্ট বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ। খেলাধুলা শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, এটি নারীদের পেশাদার ক্যারিয়ারের সুযোগও তৈরি করে। অনেক নারী ফুটবল খেলোয়াড় তাদের প্রতিভার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করে। খেলাধুলা নারীর স্বাধীনতা ও সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক। এটি বন্ধ হলে সমাজ আরও রক্ষণশীল হয়ে পড়বে, এবং নারীদের চলার পথ সংকুচিত হবে।

ধর্মের অপব্যাখ্যা ও কুসংস্কারের মাধ্যমে নারীদের খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলে তা সমাজের উন্নয়নের জন্যও হুমকি স্বরূপ। মৌলবাদীরা নারীদের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নারী ফুটবলের পথ রুদ্ধ করা মানে সমগ্র নারী সমাজের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা।

নারীর ক্ষমতায়ন কেবল একটি গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটি সমগ্র জাতির উন্নতির জন্য অপরিহার্য। নারীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষিত সমাজকেও আরও সচেতন হতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে তাদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সহায়তা করাই হবে সত্যিকারের অগ্রগতি।