
এই সময়ে দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের সাবেক স্ত্রী মেহেরপুরের গাংনীর মেয়ে সুরাইয়া আক্তার কেয়া এখন মালয়েশিয়ায় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। কেয়া পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার একজন আসামি। উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে কেয়ার বাড়িতে গাংনী থানা পুলিশ সোমবার অনুসন্ধানে গেলে তার বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের শাহিন হোসেন নামের এক যুবককে বিয়ে করে কেয়া বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
আজাদ পুলিশকে আরও জানান, কেয়া তার মেয়ে হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয় ২০১০ সালে। এর পর মনোয়ারা বিয়ে করে সদর উপজেলার উজ্জ্বলপুর গ্রামে থাকেন। মায়ের কাছে থেকেই কেয়া ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করেন।
এর পর তাকে ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে ভর্তি করা হয়। সেই সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বর্তমানে আলোচিত আপন ওরফে আরাভের সঙ্গে।
২০১৪ সালে কেয়া গ্রামে খালার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এর একদিন পর আরাভও তার এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামে আসেন। পর দিন কেয়ার মামার মোটরসাইকেল ও কেয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। সেই থেকে মেয়ের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই তার।
তিনি বলেন, লোক মারফত জানতে পারেন কেয়া ও আরাভ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তার পর তারা আরও একবার গাড়াডোব গ্রামে আসেন। দুদিন গ্রামে থাকলেও তিনি মেয়ে ও জামাতার মুখোমুখি হননি। কিছু দিন যেতে না যেতেই খবর আসে, কেয়া একটি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। পরে জেলেও যেতে হয় কেয়াকে। এ সময় কেয়াকে আপন তালাক দেন। দীর্ঘ কয়েক বছর হাজতবাস করার পর ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি পান কেয়া।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে পরিচয়ে আরাভ খান কেয়াকে বিয়ে করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের বিচ্ছেদ হয়। পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি কেয়ার অনুসন্ধানে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে। তারা পরবর্তী আইনিব্যবস্থা নেবেন।
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                        