
বসন্ত কুমারী
গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে ভেবেছি,
তুমি আসবে শীতল ছায়া নিয়ে
কিন্তু তুমি এলে না।
বর্ষায় ভেবেছি মেঘের ভেলায় করে,
আসবে তুমি একগুচ্ছ কদম হাতে নিয়ে
কিন্তু তুমি এলে না।
শরতের শুভ্র নীল আকাশে তাকিয়ে ভেবেছি,
তুমি আসবে নরম কাশফুল হয়ে
কিন্তু তুমি এলে না।
হেমন্তের নবান্নে ভেবেছি,
হৈমন্তিক আভায় সোনালি রোদ হয়ে আসবে
কিন্তু তুমি এলে না।
শীতের হিম হিম সকালে ভেবেছি,
আসবে তুমি কুয়াশা ভেজা পরি হয়ে
কিন্তু তুমি এলে না।
অবশেষে তুমি এলে
বসন্তের ফুটন্ত রূপ ও সৌরভ নিয়ে,
এলে তুমি বসন্ত কুমারী হয়ে।
বিদায় বলো না
বিদায় বলো না
তুমি বিদায় বললেই থমকে যায় মেঘ
চাতকের মতো অপেক্ষায় থাকে কৃষক, বৃষ্টির আশায়
তুমি বিদায় বলো না
বিদায় বললেই থমকে যায় বাতাস
প্রাণচঞ্চল দেহ হাঁসফাঁস করে স্বস্তির জন্য
তুমি বিদায় বলো না
বিদায় বললেই বৃক্ষ থেকে উড়ে যায় পাখি
মনের ভেতরে শুরু হয় ঝড়
পাখি ছাড়া বৃক্ষ, তুমি ছাড়া আমি
দুটোই অনর্থক।
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                        