মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান সেই কথাটা স্পষ্ট। যদি এই তথ্যগুলো আমরা বের না করতাম, আর জাতির পিতার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী যদি বের না হতো, তাহলে তাঁকে তো ভাষা আন্দোলন থেকে মুছেই ফেলা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধুর নামটা মুছে ফেলা, এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। যখনই যে কাজ করেছেন তখনই ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার চেষ্টা করে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের অনেক তথ্য আপনারা পাবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা যে সমস্ত রিপোর্ট দিয়েছিল, আমি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা এসে সমস্ত রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করি। সেগুলো কপি করে আমাদের কাছে রাখি। আমাকে সহযোগিতা করে আমার বান্ধবী বেবী মওদুদ। প্রায় ২০টা বছর আমরা এর ওপরে কাজ করি, প্রত্যেকটা ফাইল আমরা দেখি। দ্বিতীয় বার যখন আমি ক্ষমতায় আসি, তখন সিদ্ধান্ত নেই এগুলো প্রকাশ করব। পৃথিবীতে কোনো নেতার ওপরে কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। আমাদের এই রিপোর্টটাই সর্বপ্রথম আমি প্রকাশ করলাম।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মাতৃভাষায় যেভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে, অন্য ভাষায় সেই জ্ঞান অর্জন করা যাবে না। বাংলাভাষায় কথা বললে অনেকে ইংরেজি শব্দ বলে। এটা একটা জঘন্য ব্যাপার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেয়েছে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী ও বিরোধিতা করেছিল, তারা ভেবেছিল। এই দেশ আর কোনো দিন দাঁড়াতে পারবে না। বাঙালি ওই ভিক্ষুক জাতি হিসাবে থাকবে।