সৌদি আরব ও ইরান সাত বছরের বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার জন্য শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠকের বিষয়ে পরিকল্পনা করে আসছিল।দেশ দুটির শীর্ষ কূটনীতিকরা চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুগান্তকারী দ্বিপাক্ষিক পুনর্মিলন চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই এই বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এবং তার ইরানের প্রতিপক্ষ হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বারের ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ফোনালাপের সময় সম্প্রতি চীনে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে বেশ কয়েকটি সাধারণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বৈঠকের সঠিক দিন-তারিখ বা কোথায় বৈঠক হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। পবিত্র রমজান মাস গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে যা এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে শেষ হবে। সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এই বৈঠকটি ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ।
সৌদি আরবে ২০১৬ সালে শিয়া মুসলিম নেতা নিমর আল-নিমরের ফাঁসির পর ইরানি বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনে আক্রমণ করার পরে রিয়াদ তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এদিকে, নতুন চুক্তি অনুসারে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও সুন্নি মুসলিম প্রধান সৌদি আরব দুই মাসের মধ্যে তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় চালু করবে। দেশ দুটি ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তিও বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একজন ইরানি কর্মকর্তা ১৯ মার্চ জানান যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ান একই দিনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, দুই দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের সম্ভাব্য তিনটি স্থানের কথা বলা হয়েছিল।