বন্য প্রাণী চলাচলের পথ বা করিডর ও বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় হাতির লোকালয়ে চলে আসার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে মানুষ ও হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে। এ কারণে মানুষের আক্রমণ এবং বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে হাতি মারাও যাচ্ছে। শুধু গত মাসেই (নভেম্বর) দেশে আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির বিষয়ে মামলা হয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১৪৩টি হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২৯ বছরে হাতি হত্যার দায়ে মামলা হয়েছে ৩৭টি।
সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসরত হাতির সংখ্যা ২৬৮। আর ভারত ও মিয়ানমার থেকে আরও প্রায় আড়াই শ হাতি বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। ২০২০ সালে ২২টি ও ২০২১ সালে ১২টি হাতি মারা গেছে। গত মাসে চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে তিনজন মারা যান। বৈদ্যুতিক ফাঁদ ছাড়াও গুলিতেও হাতি হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত কিংবা দুর্ঘটনায় পড়েও মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জনবলসংকট এবং সাক্ষী ও আসামি হাজির করতে না পারা মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য বন বিভাগকে দুষছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বন বিভাগ মামলাগুলো ফেলে রাখে বলে নিষ্পত্তি হয় না। তা ছাড়া মামলা সমাধান নয়। বন বিভাগ কি হাতির নিরাপদ করিডর করেছে? কৃষকদের বুঝিয়েছে? কৃষকদের সঙ্গে বসতে হবে। হাতির নিরাপদ খাদ্যের সংস্থান করতে হবে। তারা সেটা তো করেনি।