ইসরায়েলকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তি সহায়তা দেয়ায় ফিলিস্তিনপন্থী কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েছে মাইক্রোসফট। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সফটওয়্যার জায়ান্টটির এআই বিভাগের সিইও মুস্তাফা সুলেইমানের বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফিলিস্তিনিপন্থী দুই কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীকে এআই প্রযুক্তি সরবরাহে ফিলিস্তিনিপন্থী ওই দুই কর্মচারী তীব্র প্রতিবাদ জানান। ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে মাইক্রোসফটের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, সাবেক সিইও স্টিভ বালমার ও বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা। এ সময় মাইক্রোসফট এআই বিভাগের প্রধান মুস্তাফা সুলেইমান বক্তৃতা করছিলেন।
তার বক্তৃতার মাঝেই ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী ইবতিহাল আবৌসাদ প্রতিবাদ জানান। মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনি জোরে বলেন, “মুস্তাফা, তোমার লজ্জা নেই।”
এরপর তিনি ফিলিস্তিনের প্রতীকী ‘কেফিয়াহ স্কার্ফ’ মঞ্চে ছুড়ে দেন এবং অভিযোগ করেন, মাইক্রোসফট ইসরায়েলি বাহিনীকে এআই প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যায় অংশ নিচ্ছে।
নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে সরিয়ে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বলেন, “তোমরা ৫০ হাজার মানুষের রক্তে হাত রাঙিয়েছো।” এ সময় মুস্তাফা সুলেইমান শান্তভাবে বলেন, “তোমার প্রতিবাদ আমি শুনেছি, ধন্যবাদ।”
পরবর্তীতে, একই অনুষ্ঠানের আরেকটি অংশে কর্মী ভানিয়া আগারওয়ালও গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন। তিনি প্রতিবাদ জানানোর সময় মঞ্চে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গেটস, বালমার এবং নাদেলা—২০১৪ সালের পর এই প্রথম তাদের একসঙ্গে দেখা যায়।
এই ঘটনার মাধ্যমে মাইক্রোসফটের কর্মীদের একাংশের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে এআই প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে গভীর অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটল।