ভাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার


দৈনিক আলোড়ন
ভাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

ভাঙ্গায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে তাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগে ওই রাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পিতা এবং ওই কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই বাবা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

পরে রবিবার রাতে মেয়েটির মামা বাদী হয়ে বাবা মোস্তফা মোল্লার (৫০) বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণের মামলা করেন।

ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে। অন্যদিকে মেয়েটিকে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। মেয়েটি বর্তমানে ভাঙ্গা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মেয়েটির পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত মোস্তফা মোল্লা দুটি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারে অন্ধ স্ত্রী, ভুক্তভোগী মেয়ে (১৭) ও তিনটি ছেলে রয়েছে। শ্বশুর বাড়িতে ঘর তৈরি করে সেখানেই তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে  বসবাস করছিলেন। স্ত্রী ভিক্ষা করে সংসার চালান।  এর আগে সদরপুরে  মেয়েটির বাবা বিয়ে করেন।  সেখানে বেশিরভাগ সময় থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বড় পাল্লা গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে আসেন। এই পরিবারের মেয়েটিকে তিনি দীর্ঘ দুই বছর যাবত ধর্ষণ করে আসছিলেন।

 

মেয়েটি ৪-৫ মাস আগে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।পরে মা তার স্বামীকে এ অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু সে তার স্ত্রীর কথা শুনেনি। পরে মেয়েটির মা তার ভাইদের বিষয়টি জানায়। রবিবার রাতে মেয়েটির বাবা আবার বাড়িতে এলে মেয়েটির মামা এবং এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে মেয়েটির বাবা ও মেয়েটিকে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে।

নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং বড়পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, মেয়েটি প্রতিবন্ধী। বাবা তেমন কোন কাজ করেন না। মেয়েটির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাবাকে আটক করে ভাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ভাংগা থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পেরেছি।