বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, কারান্তরীণ, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।’
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাদের কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব। একই সঙ্গে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবি মামলায় নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমান গণবিরোধী সরকারের স্মরণ করা উচিত- অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেফতার ও নির্যাতন করে দমাতে পারেনি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশি বলীয়ান হবে। অপহৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও দেশে সুশাসন নিশ্চিত করবে।
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন ও বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ ও তাদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মাছ-মাংস, মুরগি, ডিম এমনকি কাঁচামরিচসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের বাজারে মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। যখন টিসিবির পণ্য কিনতেও রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়, চাল না পেয়ে ট্রাকে পড়ে থাকা চাল কুড়িয়ে মানুষ যখন ক্ষুধা নিবারণ করতে চায়।
তখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থ সরকার জনদুর্ভোগবিরোধী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।’
