বিমানের পাইলট ঘুমাচ্ছেন বাঙ্কে। আর ককপিটে লাইসেন্সহীন বৈমানিক পরিদর্শক। এমন অবস্থায় জরুরি অবতরণের সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় হার্ট অ্যাটাকে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়।
এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে। সত্যতা নিশ্চিতে বিমানকে তদন্ত দেয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান জানান, অনিয়ম হলে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
জানা যায়, চলন্ত বিমানে একজন পরিদর্শক থাকেন যিনি ককপিটের পেছনে থেকে সবকিছু দেখভাল করেন যাত্রীদের। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঘটে অন্যরকম কিছু।
নিয়ম অনুযায়ী, জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত মূল পাইলটের দেয়ার কথা। কিন্তু সে সময় পাইলট দিলদার আহমেদ তোফায়েল ছিলেন বাঙ্কে বিশ্রামে। আর ককপিটে বসিয়ে গেছেন লাইসেন্সবিহীন পরিদর্শক ফরিদুজ্জামানকে। সাথে ছিলেন ট্রেইনি পাইলট ইরফানুল হক। যাত্রীর অসুস্থতায় জরুরি অবতরণের জন্য ট্রেইনি পাইলট বললেও, পরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বিমান অবতরণ করেন শাহজালাল বিমানবন্দরে। এতে যা হবার হয়ে যায়। দেরিতে হাসাপাতালে নেয়ায় মারা যান প্রবাসী কবির আহমেদ।
সিভিল এভিয়েশন জানায়, লাইসেন্সবিহীন পরিদর্শক পেছনে থেকে সেবা দিতে পারলেও, বসতে পারেন না ককপিটে। অনিয়মের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
বিমানের ক্যাপ্টেনের গাভিলতি ও অবতরণের ৪০ মিনিট পর হাসপাতালে নেয়ার বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করলেও কোন সাড়া মেলেনি।