ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে- আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যেভাবে জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী রাজনীতি করার সুযোগ পায় না, তেমনি জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।
সাদ্দাম বলেন, আমরা মনে করি গণহত্যার বিষয়টিকে বাংলাদেশ সংবিধানে আলাদা একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা যখন দেশীয় আইনে এটি নিশ্চিত করতে পারব তখন আন্তর্জাতিক আইনেও নিশ্চিত করা আমাদের জন্য সহজ হবে।
তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি আরও বেশি মানুষের জন্য সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ হতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২১ ফেব্রুয়ারিকে যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। মঙ্গল শোভাযাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছি। একইভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে ছাড়বে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, এদেশে এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি বলতেন ৩০ লাখ নয়, ৩ লাখ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা ও লাখো মানুষের রক্ত নিয়ে তামাশা করার ইতিহাস আমরা দেখেছি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।