পাঁচ বছর অপেক্ষার পর পটুয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া। দীর্ঘ সাত বছরের প্রযুক্তি প্রেমের অবসান ঘটিয়ে কাল ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে ইমরান ও নিকি উল ফিয়ার।
দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।
পরে সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ওই তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন নিকি।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন। এতে বিজ্ঞ আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওনা করেন।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইমরানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। ইন্দোনেশিয়ার তরুণীর বাবা-মায়ের সম্মতিতে বিয়ের তারিখ ও সময় ঠিক করা হয়েছে বলে জানান ইমরানের বাবা।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মা মোসাম্মাদ বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
জজকোর্টের আইনজীবী মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, আদালতে উপস্থিত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকি উল ফিয়া বাউফলের দাসপাড়া ইউনিয়নের ইমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ের সম্মতি দিয়েছেন। এরপর কাজির মাধ্যমে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে।