ঝিনাইদহে দ্বিতীয় স্ত্রীর শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বামী ও প্রথম স্ত্রীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন। তারা পলাতক রয়েছেন।
রায়ের সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী বাজারে খাবারের ব্যবসা করার সময় শহীদুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাজেদা খাতুনের। এরপর প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে শহিদুল তাকে বিয়ে করেন। পরে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে জেলা শহরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন।
ঘটনার তিন মাস পূর্বে মাজেদাকে নিয়ে শহিদুল রামচন্দ্রপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ওঠে। এরপর থেকেই শহিদুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাজেদার কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকেন। এতে মাজেদা রাজি না হলে প্রথম স্ত্রীসহ তিনি মাজেদাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন।
এরই প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে শহিদুল তার প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে মাজেদার গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে প্রতিবেশিরা তার চিৎকারে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে স্থানীয় চৌকিদার শহীদুল ইসলাম সদর থানায় মাজেদার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুনকে আসামি করে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দেয়। এরই প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে আদালত আসামি দুই জনকে ফাঁসির আদেশ দেন।