ইমতিয়াজ হ’ত্যা’র ঘটনায় হিজড়াসহ গ্রে’ফতার ৩


দৈনিক আলোড়ন
ইমতিয়াজ হ’ত্যা’র ঘটনায় হিজড়াসহ গ্রে’ফতার ৩

স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার দিবাগত রাতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যার পর লাশ গুম করা গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মিল্লাত হোসেন মুন্না, মো. আনোয়ার হোসেন ও হিজড়া এহসান ওরফে মেঘ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে মূল পরিকল্পনাকারী আরাফাত ওরফে ফয়সাল রাহাত ও আলিফ নামে আরও এক যুবক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) গোলাম সবুর বলেন, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র টাকা হাতিয়ে নিতে ইমতিয়াজকে অপহরণ করে। পরে টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। স্থপতি ইমতিয়াজ তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরদিন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের চিত্রকোট কর্মকাণ্ড সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৯ মার্চ পুলিশ মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।