দেশে সুশীল সমাজ নেই, আছে রাজনৈতিক সমাজ


দৈনিক আলোড়ন
দেশে সুশীল সমাজ নেই, আছে রাজনৈতিক সমাজ

দেশে কোনো সুশীল সমাজ নেই। যেটা আছে সেটা ‘পলিটিক্যাল সোসাইটি’ বা ‘রাজনৈতিক সমাজ’। সাধারণ মানুষের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে সুশীল সমাজও দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের দলীয় সম্পৃক্ততা আছে। এছাড়া বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত কিছু এনজিও নিজেদের মতো করে সুশীল সমাজ গড়ে তুলেছে।

পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে। পঞ্চম থেকে বর্তমান সংসদ পর্যন্ত ৫৯ থেকে ৬২ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। এসব কারণে দেশের গণতন্ত্র এগুচ্ছে না। এশিয়াটিক সোসাইটিতে শনিবার আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশের খ্যাতনামা এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শিরোনামে দিনব্যাপী এই সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ ও সেমিনার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক হাফিজা খাতুন।

পরে দিনব্যাপী সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, এএসবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ, ঢাবির অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউর রহমান, অধ্যাপক ড. এজাজ হোসেইন, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মইন উস সালাম, খনিজ প্রকৌশলী ড. মুশফিকুর রহমান, ঢাবির অধ্যাপক ড. উপমা কবীর এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান।

গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করা যায় না-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা সবসময় বলেন। গবেষণায় আমরা যা বরাদ্দ দিয়ে থাকি তা খুবই অপ্রতুল। এটা বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বৃত্তি প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবেদনও জমা পড়েছে। যারা গবেষণা করবেন বা পিএইচডি করতে আগ্রহী তারা আবেদন করতে পারবেন। এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। দিনব্যাপী সেমিনারে বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা ও প্রত্যাশা, পরিবেশ ও দুর্যোগ, পাওয়ার এবং এনার্জি, তথ্য-প্রযুক্তি খাত ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়নসহ ছয়টি বিষয়ের ওপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন।