দ্বন্দ্বের জেরে আ’গু’ন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার


দৈনিক আলোড়ন
দ্বন্দ্বের জেরে আ’গু’ন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। সেখানে বহুতল ভবন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লেগেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ ফায়ার সার্ভিসও তদন্ত করছে।

শনিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ছায়া সংসদ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন নওগাঁ জেলার মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও ঢাকার সামসুল হক খান স্কুলের বিতার্কিকরা। এ সময় অনলাইনে বিভিন্ন অপরাধ এবং অফলাইনের অপরাধ নিয়ে দুপক্ষের বক্তাদের মধ্যে চলে নানা যুক্তি খণ্ডন। প্রতিযোগিতায় ঢাকার সামসুল হক খান স্কুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নওগাঁ জেলার মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার সঞ্চালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের দিন ফায়ার সার্ভিসের অফিসে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকার আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

তবে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সময় লাগছে। তারা স্বাভাবিক মোবাইল বা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে না এজন্য তাদের ধরতে সময়ের দরকার।

কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, স্মার্টফোনের কারণে শহরের তুলনায় গ্রামের শিশু-কিশোরাই অপরাধে জড়াচ্ছে বেশি। শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, সামাজিক ও পারিবারিক শাসন এবং মূল্যবোধের চর্চা অব্যাহত রাখলেই শিশু-কিশোর অপরাধ কমে আসবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করলে শিশু অপরাধ কমবে। এক্ষেত্রে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। সেই সঙ্গে কিশোর অপরাধ নির্মূলের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শিশু আইনটির সংশোধন দরকার।