শেখ হাসিনা ১ জন গুণী প্রাইম মিনিষ্টারের মতো নয়


Apurbo Ahmed Jewel
শেখ হাসিনা ১ জন গুণী প্রাইম মিনিষ্টারের মতো নয়

অপূর্ব আহমেদ জুয়েল; শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এরারের নির্বাচন ইতিহাসে “স্বর্নাক্ষরে” লেখা থাকবে! ইহা উনার সম্পর্কে খুবই নীচু মানের ধারণা দিচ্ছে; ১ জন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই ধরণের নির্বাচন করার পর, উনাকে লো-প্রোফাইলে থাকার দরকার ছিলো; বলতে পারতেন, “বিএনপি বড় দল, তারা নিজেদের রাজনৈতিক ভুল ষ্ট্রেটেজী অনুসারে ভোটে অংশ না’নেয়াতে, তাদের সাপোর্টারেরা ভোটে আসেনি; ফলে, নির্বাচনে উপস্হিতি কম ছিলো; বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরো প্রানবন্ত হতো, উপস্হিতি বেশী হতো, তাদের দলের লোকজন ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেতো। তাদের অনুপস্হিতিতে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের নিয়েই দেশবাসীকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে”।

উনি যেই ধরণের প্রার্থী দিয়েছেন ও গত ১৫ বছরে এমপি’দের কাজকর্ম থেকে এটা পরিস্কার যে, দেশবাসী এক দল মাফিয়া, দুষ্ট ব্যবসায়ী, অসৎ রাজনীতিবিদদের পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে পেয়েছেন; যারা, আগামী ৫ বছর চুরিদারী করে, সব ধরণের সুযোগ নিয়ে নিজেদের সম্পদ বাড়াবে; এদের ১ জনও নতুন কোন বিল আনার সম্ভাবনা নেই। এদের নির্বাচিত করার ইতিহাস “স্বর্ণাক্ষর”এ লেখা থাকবে না, এরা চোর হিসেবে পরিচিত হবে মাত্র।

উনার দরকার ছিলো আমেরিকা ও বৃটেনের ষ্টেইটমেন্ট নিয়ে সরকার কি চিন্তা করছে সেটার উপর কথা বলা। আজকালের মাঝে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নও একই ধরণের ষ্টেইটমেন্ট দিবে। ওরা কি কোন ব্যবস্হা নিবে? না, সেই ধরণের কোন কিছু ঘটবে না; কারণ, বিএনপি ভোটে অংশ নেয়নি; ওসব দেশে অংশ না’নিলে তাদেরকে গণনা করা হয় না।

ভারত এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, ভালো! কিন্তু আমাদের সঠিক বন্ধু হিসেবে এই ধরণের নির্বাচন নিয়ে ১ লাইনের সমালোচনা করলে বুঝা যেতো যে, তারা আমাদের ভালো চায়। এই ধরণের স্বীকৃতি দিয়ে বলছে যে, তোমরা যা ইচ্ছে তাই করো, তোমরা এর চেয়ে ভালো করার কথা নয়, তোমাদের জ্ঞান ও মান এটুকুই, ইহা নিয়েই থাক; অনেকটা অবজ্ঞার সমান। ওরা জানে যে, বাংগালীরা ও পাকিস্তানীরা এইভাবেই থাকবে।

২০০৭ সালে সামরিক ক্যু করে, ক্ষমতায় থেকে যাবার অভিপ্রায় নিয়ে জেনারেল মইন ইউ আহম্মদ ২০০৮ সালে ভারতে গিয়েছিলো সাপোর্টের জন্য; তখন প্রাইম মিনিষ্টার ছিলেন মনমোহন সিং; হাতে হারিকেন ধরায়ে দিয়ে কয়েকটি ঘোড়া উপহার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলো, ভারত কখনো মিলিটারীর ক্ষমতা দখলের পক্ষে ছিলো না। ভারত এই ধরণের নির্বাচনের পক্ষেও থাকার কথা নয়; কিন্তু ওরা আমাদের ভালো চায় না বলেই বিনা সমালোচনায় স্বীকৃতি দিলো!

লেখক- অপূর্ব আহমেদ জুয়েল