যে ঘটনায় প্রত্যাহার বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ


দৈনিক আলোড়ন
যে ঘটনায় প্রত্যাহার বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ

গুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভিএম স্কুল) শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি এবং দুই শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করায় অতিরিক্ত দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এ প্রত্যাহারের আদেশ দেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (২০ মার্চ) বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয় অতিরিক্ত দায়রা জজের মেয়ের। পরে অতিরিক্ত দায়রা জজের মেয়ে বাসায় গিয়ে ফেসবুকে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। সেই কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাসে তার সহপাঠীরাও কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে। এর জেরে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মাধ্যমে মেয়ের সহপাঠীদের অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে দুই অভিভাবককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে অতিরিক্ত দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুলের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে ওই দিন রাত ৯টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী ফোনে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে জানান, অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিষয়টি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানালে তারা শান্ত হন এবং স্কুল ত্যাগ করেন।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগ অতিরিক্ত দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বদলির আদেশ দেন।

এদিকে, উদ্ভূত ওই পরিস্থিতি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অতিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে। ওই কমিটি এখনও তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে কার্যক্রম শুরুর পর আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।