চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সৎমায়ের পরকীয়া প্রেমিকদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয় ১১ বছরের এক শিশু।
শিশুটির বাবা সাগরে মাছ ধরার কাজ করত এবং প্রায় সময়ই ১৫-২০ দিন সাগরে অবস্থান করত। এ সময় সৎমা পরকীয়া প্রেমিক মো. আরাফাত ও সাহাদাত হোসেনের পরকীয়া সম্পর্কে জড়াতেন।
গত বছরের অক্টোবর মেয়েটির জেলে বাবা যখন মাছ ধরার জন্য সাগরে অবস্থান করছিলেন, সেই সুযোগে আসামি আরাফাত ও সাহাদাত ১১ বছরের ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুটির দাদি তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি তার দাদিকে ধর্ষণের কথা বলে দেয়।
পরে শিশুটির দাদি তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারেন সে গর্ভবতী। পরবর্তী সময় শিশুটির বাবা বাড়িতে এসে ঘটনা জানতে পেরে বাঁশখালী থানায় স্ত্রী ও তার দুই পরকীয়া প্রেমিককে আসামি করে একটি মামলা করেন, যার মামলা নং-৩৪/৪৮৮।
মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে পলাতক থাকে। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭ গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর অলঙ্কার মোড় থেকে সাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে।