কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈকে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চে তাঁর স্মরণে খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুরোনো গির্জার পাশে কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর মগবাজারের নিউ ইস্কাটন এলাকার সেন্ট থোমাস চার্চে অ্যাঞ্জেলার স্মরণে প্রথম প্রার্থনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ভোরে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন অ্যাঞ্জেলার বাবা।
টরন্টোর সময় গত শুক্রবার রাত ১০টায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি এয়ারলাইনসে করে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়। অ্যাঞ্জেলার বাবা ও তাঁর ছোট ভাই অন্য একটি ফ্লাইটে রোববার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান।
ভোর পাঁচটার দিকে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ প্রথমে ফার্মগেটের মনিপুরি পাড়ার বাসায় নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য নিউ ইস্কাটনের ওই চার্চে নেওয়া হয়।
সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের প্রার্থনা শেষ হয়। প্রার্থনা শেষে উপস্থিত অ্যাঞ্জেলার পরিবারের সদস্য, স্বজন-বন্ধু ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাঁর প্রতি ভালোবাসা জানান।
প্রার্থনা অনুষ্ঠানে বলা হয়, সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে অ্যাঞ্জেলা সৃষ্টিকর্তার কাছেই ফিরে গেছেন। তাঁর ক্ষুদ্র জীবনের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করা হয়।
অ্যাঞ্জেলার স্মৃতিচারণা করে স্বজনেরা বলেন, তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। হাসিখুশি ছিলেন। সহজেই সবার সঙ্গে মিশতে পারতেন। সবাইকে বন্ধুর মতো আপন করে নিতেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর ডানডাস স্ট্রিট ওয়েস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাঞ্জেলাসহ বাংলাদেশি আরও দুজন শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহত অন্য দুজন শিক্ষার্থী হচ্ছেন শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্ত। তাঁদের মরদেহ দেশে আনতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও একজন শিক্ষার্থী। তিনি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ছেলে নিবিড় কুমার। দুর্ঘটনার সময় নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
