সিরিয়া-তুরস্কে সীমান্তে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এ ঘটনায় আজ বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হাজার ৪১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার নবম দিন গতকাল মঙ্গলবার আরও ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার জীবিত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ভাই রয়েছেন। তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া আন্তাকিয়ায় একজন সিরীয় পুরুষ ও একজন সিরীয় তরুণীকে ভূমিকম্পের ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা আছে বলে একজন উদ্ধারকারী বলেছেন।
তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে , সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দুই দেশেরই উদ্ধারকারী দলগুলো এখন বিস্তীর্ণ এলাকায় উদ্ধার কাজ গুটিয়ে আনছে। কারণ, জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ বলছে, গত সপ্তাহের মারাত্মক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আরও দুটি সীমান্ত পারাপার খুলতে রাজি হয়েছে সিরিয়ার সরকার।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন, ঠিক তখনই তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে দুপুরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরদিন মঙ্গলবার তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।