সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় দারিদ্র্যের কারণে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে ছেলে রহিত দত্তকে (১২) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মা সুমিতা দত্ত।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমিতা দত্তকে থানায় নিয়ে যাবার পর জবানবন্দীতে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই সুমিতা দত্তের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রহিতের কাকা উজ্জ্বল দত্ত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খবির হোসেন বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সুমিতা দত্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, ‘ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় রহিতের মা সুমিতা দত্ত ও বাপ্পী সরদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমিতা দত্ত দারিদ্র্যের কারণে ভরণপোষণ দিতে না পারায় ছেলেকে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ঘটনার সঙ্গে বাপ্পী সরদারের কোনও সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে রহিত দত্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে স্কুলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ফিরে আসার পর মায়ের দেওয়া জুস খেয়ে সে মারা যায়।